মাদক নির্মূলে কাজ করতে জনবল বৃদ্ধি করা হবে : ডিজি
খুলনা, লিগ্যালভয়েস : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, মাদক নির্মূলে কাজ করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল আরো বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী অধিদপ্তরের ১হাজার ৫৯৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে বর্তমানে ১হাজার ১৮২জন লোকবল রয়েছে। খুব শিগগিরই লোকবল দ্বিগুন করা হবে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে জনবল দ্বিগুন করে মাদকমুক্ত দেশ গড়ে তোলা হবে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে মাদক অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ এবং কর্মকৌশল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক ৮দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রশিক্ষণ কোর্সে খুলনা বিভাগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক, সহকারী উপ-পরিদর্শক, ওয়্যারলেস অপারেটর ও সিপাইরা অংশগ্রহণ করছেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. হেলাল উদ্দিন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।
স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবুল হোসেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রার যে পথরেখা আমরা দেখতে পাচ্ছি সেখানে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা মাদক। ফলে মাদককে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল প্রশাসনসহ সকলকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শুদ্ধভাবে পালন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রেশন পেতেন না। এখন থেকে তারা রেশন পাবেন।
মহাপরিচালক মাগুরা ও নড়াইল জেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণার জন্য দুটি জেলায় ৩০লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। এছাড়াও খুলনার দাকোপ উপজেলাকে মাদকদুক্ত করতে খুলনা জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতার সর্বাত্মক আশ্বাস প্রদান করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করে মহাপরিচালক বলেন, আমাদের কাছে পরাজিত পাকিস্তান এখন তাদের উন্নয়নের জন্য বলে থাকে আমাদের সুইডেন দরকার নেই, বাংলাদেশের মত উন্নয়ন চাই। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের অবস্থান ও মর্যাদা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে।