ভারতের সীমানায় বাংলাদেশী নাগরিককে কুপিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ওমিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক বাংলাদেশীকে ভারতের অভ্যন্তরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওমিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে সীমান্তের ৮০ নম্বর ১৬টি খুঁটি বরাবর ১০০ গজ অভ্যন্তরে কলাবাগানের মধ্যে মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে মাঠে কাজ করতে আসা কৃষকরা। সেসময় খবর দেয়া হয় বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়কে (বিজিবি)। ঘটনাস্থলে তারা এসে বিএসফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে জানতে পারে, ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওমিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
খবর পেয়ে নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের মরদেহ ফেরত চেয়ে আজ সকালেই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে ফেরত পাওয়া যাবে বলে বিজিবি নিশ্চিত করেছে।
পারষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান। এ সময় বাংলাদেশী সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর দপ্তরের বিজিবির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে বিএসএফের সাথে বৈঠকে করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা মডেল থানাতে বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক ইমাম হাসান জানান, বাংলাদেশী নিহতের খবর পেয়ে সকালেই নাস্তিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করা হয়। পরে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশীর মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানীদের অভ্যান্তরীণ দন্দ্বে ওমিদুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।