সর্বক্ষেত্রে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ উৎপাদনের মাঠ থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দ্বিতীয়বারের মত ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’।
উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে বাংলাদেশের অভিযাত্রায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিপাদ্যটি তাৎপর্যপূর্ণ ও যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।
তিনি বলেন, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় নিয়ামক। অনিরাপদ খাদ্য ক্যান্সার, কিডনি রোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ ঘোষণা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যসহ কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।