শিশু ধর্ষনের অভিযোগ, গ্রেফতার ১
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ইটভাটার শ্রমিকের ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও ৮ বছরের অপর এক শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতকে শরীয়তপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। দু’টি শিশুকেই চকলেট ও বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এ লোহমহর্ষক ঘটনাটি ঘটায় স্থানীয় কাদির ভুইয়া নামে এক বখাটে।
গত সোমবার বিকেলে ইট ভাটার শ্রমিকের ১০ বছরের শিশু কন্যাকে চকলেট ও টাকার লোভ দেখিয়ে তার দোকানের পাশের একটি পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে অপর শ্রমিকের ৮ বছরের শিশু কন্যা এগিয়ে গেলে তাকেও ধর্ষণের চেস্টা করে কাদির। এ বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের দুজনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলেও জানিয়েছে তাদের পরিবার। এ ভয়ে শিশু দুটি পরিবারের কাছে কিছু বলেনি। এরপর মঙ্গলবার আবারও ১০ বছরের শিশুটি ধর্ষণ করে কাদির। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই শিশুটিকে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা চালায় কাদির। তখন শিশু দু’জনেই তাদের পরিবারের কাছে ধর্ষণের কথা জানিয়ে দেয়। খবরটি শুক্রবার পুরো এলাকায় জানাজানি হলে সখিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই পরিবারকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাদির ভুইয়াকে আসামী করে ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে সখিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ও ৯/৪ এর খ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সখিপুর থানা পুলিশ ধর্ষক কাদির ভুইয়াকে নরশিংহপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায় কাদির তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এদিকে শিশু দুটিকে পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল ও ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সখিপুর থানা পুলিশ। সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনামুল হক বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে শুক্রবার বিকালে আমি শিশু দুটিকে ও তার পরিবারের লোকজন থানায় নিয়ে আসি। এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সকালে কাদির ভুইয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ও ৯/৪ এর খ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আমরা আসামী কাদির ভুইয়াকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে।