রাষ্ট্রপতির ভাষণে সরকারের উন্নয়নের কথাই তুলে ধরেছেন: সরকারি দল
রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, তার ভাষণে বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নের সাফল্য গাঁথা বস্তুনিষ্ঠভাবে উঠে এসেছে।
আজ সংসদে এ আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ১ম দিনে সরকারি দলের সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ, শহীদুজ্জামান সরকার, বেনজীর আহমেদ, মেহের আফরোজ চুমকি, আলোচনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দিয়েছেন তা দেশের সার্বিক চিত্রের প্রতিফলন। তিনি সরকারের বিগত ১০ বছরের আর্থ-সামজিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ঘটনা প্রবাহে এদেশের যে রূপান্তর হয়েছে এটাকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিগত ১০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর ২১ বছর এদেশের মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে কাটিয়েছে। দেশের সাফল্যের সবগুলো দ্বার যেন তখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওই অবস্থা থেকে দেশকে তুলে এনে দারিদ্র্যমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দরিদ্র দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।
সরকারি দলের মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, এবারের নির্বাচনে এদেশের মানুষ ’৭০-এর নির্বাচনের মতো ফলাফল প্রত্যাশা করেছিল। নির্বাচনের ফলাফলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান এদেশে খুন, হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি চালু করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশীদার করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে এদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করেছেন।
বিএনপিকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগ পেয়েছিল ৯টি আসন। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট পেয়েছে ৮টি আসন।