মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার কমাতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যে জনগোষ্ঠী হাসপাতালে গিয়ে নিরাপদ প্রসবে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে তাদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচিসহ বিশেষ পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়াতে হবে। বর্তমানে এই হার মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। তাই এ বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদা তৎপর থাকতে হবে। যেসব এলাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের হার জাতীয় গড়ের নীচে রয়েছে সেসব এলাকায় বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রণয়ন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সমাজ ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে টার্গেট করে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মাধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যক্রম ও অর্জন সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।