‘১৮ লাখ ভুয়া চালকের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয় কেন?
দেশে এই মুহূর্তে ৩৮ লাখ যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন আর লাইসেন্সধারী বৈধ চালকের সংখ্যা ২০ লাখ। সেই হিসাবে বাকী ১৮ লাখ গাড়ির চালকই ভুয়া। এই চালকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না প্রশ্ন তুলে সংসদে ৩০০ বিধিতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি এই দাবি জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘গাড়ি আছে দুর্ঘটনা তো হতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন যাবৎ সড়ক দুর্ঘটনা এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, দেখে মনে হয় যেন কেউ দেখার নেই।’
স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ জাপার এই এমপি বলেন, ‘প্রতিবেদন অনুযায়ী বছরে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। মহাসড়কের ৬২ শতাংশ সড়কে কোনো স্থায়ী সংকেত নেই।’
গত বছর একটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে যায় তখন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ৫টি নির্দেশনা দেন উল্লেখ করে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এরমধ্যে অন্যতম ছিল ৫ ঘণ্টার বেশি এক টানা গাড়ি চালানো যাবে না। ৫ ঘণ্টার বেশি চালালে শক্তি থাকে না, প্রয়োজনে বিকল্প চালক থাকবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে চালকের বিশ্রামাগার থাকবে। গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া লাগবে। সিগন্যাল মেনে চলতে হবে, জেব্রাক্রসিং নিশ্চিত করতে হবে, গাড়িতে সিট বেল্ট বাঁধা নিশ্চিত করতে হবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মাঝে মাঝে রাস্তায় নেমে বেবি ট্যাক্সিচালকের লাইসেন্স দেখেন মন্তব্য করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এত দুর্ঘটনা হচ্ছে, জনমনে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে, এটা কি দেখার কেউ নেই? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের কী অবস্থা? কবে বাস্তবায়ন করবেন? আর ১৮ লাখ ভুয়া চালক। এই গাড়ির মালিকরা কারা? গাড়ির মালিক এমন লোক, যারা আইন বাস্তবায়নে থাকেন, আইন প্রণেতা। যে কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংসদে সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করছি।’
প্রসঙ্গত তার পাশের সিটেই বসে ছিলেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতা তার দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।