জানুয়ারিতে রফতানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রফতানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময়ে রফতানি আয় হয়েছে দুই হাজার ৪১৮ কোটি মার্কিন ডলার যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। এদিকে জানুয়ারি মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৬৮ কোটি ডলার। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত মাসে রফতানি আয় ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি হয়েছে।
একক মাস হিসেবে গত অর্থবছরের জানুয়ারিতে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৪০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। সে হিসেবে এবছর জানুয়ারি মাসে রফতানি আয় আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২৪০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ২ হাজার ১৩২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।
প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতের আয় ধারাবাহিকভাবে ভাল হওয়ায় রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক খাতের নিট পণ্য (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি আয় ও প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুই-ই বেড়েছে। ৯২৭ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় দাঁড়িযেছে ১ হাজার ১৪ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গতবছরের একইসময়ে এই খাতে রফতানি ছিল ৮৯০ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।
আলোচ্য সময়ে ওভেন পণ্যেও (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। ৯৫০ কোটি ২২ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের। গতবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৮৭৪ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বড় পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে। এই খাতে রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যার প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মাছ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করার মত। এ সময়ে ৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের মাছ রফতানি হয়েছে। এর প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক শুন্য ১ শতাংশ। তবে চামড়া ও চামড়জাত এবং পাট ও পাট পণ্যের রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।
গতবছরের প্রথম সাত মাসে চামড়া ও চামড়জাত পণ্যের রফতানি ছিল ৭০ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের, এবারের একই সময়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে ৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
এছাড়া কৃষিজাত পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে। এ সময়ে ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের কৃষিজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬১ দশমিক শুন্য ৩ শতাংশ।পাশাপাশি আসবাবপত্র, হস্তশিল্প, বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ও পাদুকার রফতানি বেড়েছে। তবে হোম টেক্সাটাইলসহ কয়েকটি পণ্য রফতানি গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে।