স্বাস্থ্য অধিদফতরে দুদকের অভিযান
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : অধিদফতরে দুদকের অভিযান, চিকিৎসকের সাত মাস অনুপিস্থতির ঘটনা উৎঘাটন রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে পদায়িত একজন ডাক্তারেরপ্রায় ০৭মাস যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিতির ঘটনাবের করেছে দুদক। অর্থো-সার্জারী বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক দীর্ঘ ছয় মাসেরও অধিককাল কর্মস্থলে যোগদান করছেন না, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) এপ অভিযোগ আসলে আজ (০৪/০২/২০১৯) দুদক মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে পরিচালক শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যেরএকটি টিম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে অভিযান চালায়।
দুদক টিম দেখে, ডাক্তার মোঃ আব্দুল কাদের (কোড নং-৪২২৬৮) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী-তে ওএসডি থাকাঅবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সংযুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ওপরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ গত১৯/০৭/২০১৮ ইং তাঁকে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে বদলীকরে। সে প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতাল, নড়াইল কর্তৃপক্ষ তাকে২৯/০৭/২০১৮ ইং অপরাহ্নে ছাড়পত্র প্রদানপূর্বক যথাসময়ে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেন, কিন্তু তিনিঅদ্যাবধি সেখানে যোগদান না করেই সরকারি বেতন-ভাতাউত্তোলন করে যাচ্ছেন। দুদক টিম জানতে পারে, বদলীর আদেশ বাতিল করার জন্য তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন
দিয়েছিলেন, কিন্তু সে আবেদন গৃহীত হয়েছে কী-নাসেটি নিশ্চিত না হয়েই তিনি ছয় মাসেরও বেশি সময়কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। দুদক টিমের উপস্থিতিতেআজই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃনাসিমা সুলতানা তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত চিকিৎসকের নিকট ব্যাখ্যা তলব করেন। এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্টইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মাদমুনীর চৌধুরী বলেন, “এ ধরনের নৈরাজ্য শুধু চাকুরির শৃঙ্খলা পরিপন্থীই নয়, অবধারিতভাবে এটা দুর্নীতি। কারণ সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবংজনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা স¤পূর্ণবেআইনী। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।”