বাণিজ্যমেলায় ভ্যাট আদায় হয়েছে ৭ কোটি টাকা
সদ্য সমাপ্ত হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ৭ কোটি ১ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় করেছে ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ বলছে, আদায় করা ভ্যাটের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ড. মইনুল খান গণমাধ্যমে জানান, বিভিন্ন স্টল থেকে সংগৃহীত ভ্যাটের চালান যাচাই করে দেখা যায়, মোট ভ্যাট সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। এই সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি।
রোববার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে ট্রেজারি চালান যাচাই শেষে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া হাতিল ও ওয়ালটনসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
মইনুল খান জানান, সাধারণত মেলার অন্যান্য দিনে গড়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়ে আসছিল। মেলার শেষ সপ্তাহে ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেট মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ তৎপরতা চালু করে। এতে ভ্যাট সংগ্রহে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ জানুয়ারি ২৮ থেকে তিনটি দল গঠন করে এই তদারকি করে আসছে।
এসব দল মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন স্টলে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ভ্যাট আইন পরিপালনে উদ্বুদ্ধ করে এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এতে ব্যাপক সাড়া দেয়। তবে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ ওঠায় এবং যথাযথ ভ্যাট চালান ইস্যু না করায় ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট অভিযুক্তদের বিভিন্ন অর্থদন্ডে দণ্ডিত করে।
এর আগে, ২০১৮ সালের বাণিজ্যমেলা থেকে ভ্যাট আহরণের মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। চলতি মেলায় ৬ কোটি টাকার ভ্যাট সংগ্রহ হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মেলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ পণ্যে ৫ শতাংশ ব্যাবসায়ী ভ্যাট প্রযোজ্য। আইন অনুসারে প্রতিটি পণ্য ও সেবা কেনার ক্ষেত্রে ভ্যাট চালান ইস্যু করা বাধ্যতামূলক।
তিনি আরও জানান, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯-এ সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড (৯৯ দশমিক ৪৪ লাখ টাকা), ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (৪২ লাখ ১২ হাজার টাকা), স্কয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা), র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (২৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা), বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড (২৩ লাখ ১০ হাজার টাকা), আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (২১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা), ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (১৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা), ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড (১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা), নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড (১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা) ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (১৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা)। এই ১০টি সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা দেবে।