ভোলায় ২ হাজারেরও বেশি গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে
ভোলা : জেলার ৭ উপজেলায় ২ হাজার ৮৯টি গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকারিভাবে বসত ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। যাদের জমি আছে, ঘর নেই, এমন দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে এসব গৃহ প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘর সাড়ে ১৬ ফুট বাই সাড়ে ১৫ ফুট করে নির্মাণ হচ্ছে। ঘরগুলোর ফ্লোর পাঁকা, সামনে খোলা বারান্দা, আরসিসি পিলার, পাশে ও উপরে টিন দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে স্যানেটারি ল্যট্রিনের সু-ব্যবস্থা। চলতি বছরের মধ্যে এসব ঘর নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, এসব ঘরের মধ্যে সদর উপজেলায় হচ্ছে ৫১২টি, দৌলতখানে ১৮৪টি, বোরহানউদ্দিনে ১৬২টি, তজুমদ্দিনে ৪০০, লালমোহনে ৪৩২, চরফ্যাসনে ৩৪৫ ও মনপুরায় ৫৪টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এসব ঘরের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার ঘরের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা করে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। উন্নয়ন ঘটবে এসব পরিবারের কয়েক হাজার মানুষের জীবনমানের। আর সমাজের অসহায় মানুষগুলো ঘর পেয়ে খুশি। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: সেলিম রেজা আজ বাসস’কে জানান, যাদের জমি আছে ঘর নেই, এটি চমৎকার একটি উদ্যোগ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে গৃহহীনদের তালিকা করে গৃহ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ঘর প্রাপ্তির ফলে সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর সামাজিক মূল্যায়ন বৃদ্ধিসহ প্রত্যাহিক জীবনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাঘমারা এলাকায় অসহায় দিন মজুর দুলাল হাওলাদার ঘর পেয়েছেন। তিনি বাসস’কে জানান, আগে অন্যের ঘরে বসত করতেন। এখন সরকারিভাবে ঘর পেয়ে আনন্দিত তিনি। বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর চরনোয়াবাদ এলাকায় আবুল কালাম (৬০) সরকারি গৃহ পেয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা। এতদিন ঘর না থাকায় দোকানেই কোন রকমে থাকতেন। স্ত্রী আর সন্তানরা থাকতেন অন্যের ঘরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়ায় এখন দুখের দিন শেষ। সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকতে পারবেন।