রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার নির্দেশ সিইসির
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নুরুল হুদা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা একমাত্র প্রজাতন্ত্রের এবং সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির কাছে নন। যারা উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় নেতৃত্ব নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে আপনাদের দক্ষ পরিচালনার ওপর নির্ভর করবে কিভাবে সে নির্বাচন পরিচালিত হবে এবং কিভাবে তারা নির্বাচিত হবেন।’
নির্বাচন পরিচালনায় কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে সিইসি বলেন, সমন্বয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এবং ভোটাদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে আপনাদের দক্ষতার ওপরে, পারদর্শিতার ওপরে, নিরপেক্ষতার ওপরে নির্ভর করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কখনো কারও প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা আপনাদের থাকবে না। কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। পুরোপুরি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। কারও প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা, অনুরাগ, বিরাগ কোনো কিছু আপনাদের থাকবে না। কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যতটুকু করার দরকার ততটুকু আপনাদের করতে হবে।’
নুরুল হুদা বলেন, যদি কোথাও কোনো অনিয়ম হয়, প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত হয়ে যায়, প্রিজাইডিং অফিসার যদি সিদ্ধান্ত দেন যে, তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়, তখন রিটার্নিং অফিসার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে নির্বাচন তার নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত, তাহলে তিনি কমিশনে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ার জন্য সুপারিশ করবেন। কমিশনের কাছে তার যুক্তি যথাযথ মনে হলে সেই উপজেলার নির্বাচনই বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা থাকবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ উর্ধ্বতস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।