১০ কোটি টাকার লটারি নিতে এলেন মুখোশ পরে
ভাগ্যের চাকাটা ঘুরে লটারি পেয়ে গেলে আশাপাশের মানুষতো জানেই, পুরস্কারের অংকটা বেশি হলে উঠে যায় গণমাধ্যমেও। এই ব্যক্তিরও নামও গণমাধ্যমে এসেছে, বরং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেই এসেছে, তবে কারণটা ভিন্ন। তিনি তার পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। চাইবেনই বা কেন? লটারির পুরস্কারের অর্থটাও যে ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। যা বাংলাদেশী টাকায় ১০ কোটিরও বেশি।
এই ধরনের মুখোশ ‘ইমোজি মাস্ক’ বলেই পরিচিত। তিনি জানিয়েছেন এমন মুখোশ পরেছেন কারণ, তিনি চান না তার আত্মীয়-পরিজনরা তার লটারি পাওয়ার খবরটা জানুক। শুধু মুখোশই নয়, নিজের পরিচয় গোপন রাখতে লটারির পুরস্কার নেওয়ার সময় নিজের আসল নাম লুকিয়ে ছদ্মনাম এ. ক্যাম্পবেল ব্যবহার করেন জামাইকার ওই ব্যক্তি। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের উপর বিন্দুমাত্রও ভরসা ছিল না তার। বরং আশঙ্কা ছিল যে, তার সম্পত্তির ভাগ চেয়ে বসতে পারেন। সেই কারণেই মুখোশ পরে লটারির টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত। নেশনস সুপার লোটো থেকে পাওয়া লটারির টাকা পেতে ৫৪ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে ক্যাম্পবেলকে। গত বছরের নভেম্বরে তিনি এই লটারি জিতেছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই লটারি জেতার পরের থেকেই তার শরীর খারাপ লাগছিল। এত টাকা পেয়ে তিনি কী করবেন তা ভাবতে ভাবতে তার নাকি পেটের গন্ডগোলও শুরু হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, লটারির এই টাকা দিয়ে তিনি একটি সুন্দর বাড়ি কিনবেন। তার ছোট ব্যবসাটিকেও আরও বড় করে তুলতে চান তিনি।
এর আগে গত জুনে আরও এক সুপার লোটো লটারি বিজয়ী এরকমই একটি ‘ইমোজি মাস্ক’ পরে লটারির টাকা নিতে এসেছিলেন। তিনিও নিজের পরিচয় গোপন করতেই এই মুখোশ পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।