হেলিকপ্টারে চড়ে ইজতেমায় আহমদ শফী
হেলিকপ্টারে চড়ে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত কয়েক বছরে টঙ্গী ইজতেমায় অংশ নিতে দেখা না গেলেও এবার নেতৃত্বের কোন্দলে দ্বিধাবিভক্ত তাবলিগ জামাতের দেওবন্দপন্থিদের ইজতেমায় অসুস্থতা নিয়েই অংশ নিলেন আহমদ শফী।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজত আমিরকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি টঙ্গীর বাটা সু কারখানার অভ্যন্তরে এসে অবতরণ করে। পরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম নিজের গাড়িতে করে তাকে ইজতেমা মাঠে বিদেশি মেহমানদের জন্য নির্ধারিত তাঁবুতে নিয়ে যান।
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে এবার তা পিছিয়ে যায়।
তাবলিগ জামাতের নেতৃত্ব তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াছের নাতি দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির হাতে থাকবে, না দেওবন্দ মাদ্রাসার মাওলানা জুবায়েরের ছেলে জুহাইরুল হাসানের অনুসারীরা এ সংঘের নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে এই বিভক্তি।
গতবছর বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতে ঢাকায় এসে বিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাদ। পরে সরকারে মধ্যস্থতায় ইজতেমায় অংশ না নিয়েই তাকে ঢাকা ছাড়তে হয়।
সাদপন্থিরা সে সময় তাবলিগের বিভক্তিতে উসকানি দেওয়ার এবং মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু কিশোরদের রাস্তায় নামানোর অভিযোগ করেছিল আহমদ শফীর হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ বছর তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ জানুয়ারির দু্টি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিশ্ব ইজতেমা করার ঘোষণা দিলে সেই উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুও হয়।
এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবারের ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করেন। দুই পক্ষের মতের মিল না হওয়ায় আয়োজনেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়।
ইজতেমার চার দিনের আয়োজনের মধ্যে দুই পক্ষের জন্য দুদিন করে রেখে দুই দফা আখেরি মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবার।
এর মধ্যে শুক্র ও শনিবার চলছে দেওবন্দপন্থিদের ইজতেমা। আর দিল্লির সাদপন্থীদের ইজতেমা হবে রবি ও সোমবার। দুই পক্ষ শনি ও সোমবার দুইবার আখেরি মোনাজাত করবে।