সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৪৯ জনের শপথ অনুষ্ঠিত

সংসদ, লিগ্যাল ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা মহিলা আসনে ৪৯ জন আজ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
আজ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন শারমিন চৌধুরী আজ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। সংসদ
ভবনের নিচ তলায় শপথ কক্ষে তাদের শপথ পাঠ করানো হয়। সংসদ সচিবালয়ের সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রথমে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন সংসদ সদস্য শপথ নেন। এরপর জাতীয় পার্টির ৪ জন, পরে ওয়ার্কার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে একজন আলাদা আলাদাভাবে শপথ নেন।
শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সচিবের কার্যালয়ের রাখা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং একসঙ্গে তাদের ছবি তোলা হয়। এছাড়া নারী এমপিদের আইডি কার্ড দেয়ার জন্য পৃথক পৃথকভাবে তাদের ছবি তোলা হয়।
রোববার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্যদের নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাসেম এর আগে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কোন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এবং একই আসনে একাধিক প্রার্থীও ছিল না। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, যদি কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকে আর সেখান থেকে কেউ প্রত্যাহার না করে। তাহলে প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরের দিন তাদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে হয়। তাই কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় ৪৯ জন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যে ৪৩ জন সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন তারা হলেন- ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তি চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন্নেছা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলী, নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী, ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।
জাতীয় পার্টির চার সদস্য হলেন- সালমা ইসলাম, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী।
ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে লুৎফুন নেসা খান এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী সেলিনা ইসলাম।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, বিএনপি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত একটি আসন পেয়েছে। কিন্তু দলটি সংসদে যোগ না দেয়ায় এই আসনে ভোট হয়নি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *