ঢামেকের মর্গে ৬৭ লাশ, চেনা না গেলে হবে ডিএনএ টেস্ট
পুরান ঢাকার চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল থেকে ৬৭টি লাশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনরা ভিড় করছেন ঢামেক মর্গে। তবে এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি চেনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ময়নাতদন্তের পর শনাক্তকরণের ভিত্তিতে লাশগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।
বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশের কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর সকাল নাগাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ৭০টি লাশ উদ্ধারের পর ব্যাগে ভরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর কথা জানায়।
অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৬৭টি লাশ গ্রহণ করেছি। তবে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভূইয়া বলেন, “আমাদের হিসাবে লাশ ৭০টি। তবে কয়েকটা ব্যাগে খণ্ড খণ্ড ডেডবডি ছিল। সম্পূর্ণ ডেডবডি হয়তো ৬৭টি হতে পারে।”
লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, “পুলিশের কাছ থেকে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তে অর্ডার পেলে যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব, সেগুলোর পোস্ট মর্টেম করব।”
কয়েকটি লাশ এতটাই পুড়েছে যে চেনার উপায় নেই। সেক্ষেত্রে কী হবে- জানতে চাইলে অধ্যাপক সোহেল বলেন, ‘যেসব লাশ শনাক্ত কতরা সম্ভব না, সেগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করবে, পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মিলিয়ে হস্তান্তর করা হবে।”
সিআইডির ডিএনএ এনালিস্ট আশরাফুল আলম বলেন, “মরদেহগুলো যেন নির্বিঘ্নে তাদের স্বজনেরা শনাক্ত করতে পারেন, সেজন্য ডিএনএ স্যাম্পলসহ শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো যেমন রক্ত, দাঁত সংগ্রহ করে নিয়ে যাব।”
ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবারও লাশ হস্তান্তর সম্ভব কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যে লাশগুলো আইডিন্টেফিকেশন সম্ভব, সেগুলো ময়নাতদন্তের পর আজকের মধ্যে হস্তান্তর করা সম্ভব।”
চকবাজার থানার পরিদর্শক মুরাদুল ইসলাম জানান, মর্গে থাকা লাশগুলোর মধ্যে চারটি শিশুর, পাঁচটি নারীর, ৫৮টি পুরুষের। এদের মধ্যে ১৯ জনের পরিবার তাদের মরদেহ শনাক্ত করেছে। প্রতিটি মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।