নতুন আইনে একাধিক ভ্যাট হার চায় ডিসিসিআই
মো. সাইদুর রহমান
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইনে যে সংশোধন হচ্ছে, সেখানে অভিন্ন হারের পরিবর্তে একাধিক হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
ডিসিসিআইয়ের দাবি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন ভ্যাট আইনে যে সংশোধনী আনতে যাচ্ছে, সেখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে একাধিক হারে ভ্যাট আরোপ করতে হবে। অন্ততপক্ষে এটা যেন তিন স্তরের হয়। একইসাথে সংগঠনটি ভ্যাট হার হ্রাস করে এক অংকের ঘরে আনার প্রস্তাব করেছে।
বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ওসামা তাসীর এই প্রস্তাব তুলে ধরেন।
২০১৯ সালে ডিসিসিআইয়ের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনটির উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত সচিব জয়নাল আবেদীন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ওসামা তাসীর বলেন, বর্তমানে ৮ লাখ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে। তবে নিয়মিত ভ্যাট দেয় মাত্র ৩৭ হাজার। আমরা মনে করি ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হার হওয়া উচিৎ। আমরা ৭ শতাংশ হারে ভ্যাটের সুপারিশ করেছি। ভ্যাট হার কমানো হলে ভ্যাটদাতা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়বে বলে তিনি মত দেন।
উল্লেখ্য, ভ্যাট আইন-২০১২ আগামী অর্থবছর অর্থ্যাৎ আগামী জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তবে নতুন এই আইনটি আরো ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব করতে এর কিছু জায়গায় সংশোধনী আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার আব্দুল মান্নান শিকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি সংশোধনী প্রস্তাব প্রস্তুত করেছে।
করপোরেট করহার এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে ওসামা তাসীর বলেন,এর প্রভাবে বিদেশী বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চাই আগামী তিন বছরে ধাপে ধাপে ৫,৭ ও ১০ শতাংশ করে করপোরেট কর কমানো হোক। পোশাক খাতের বিদ্যমান করপোরেট করহার কমানোরও প্রস্তাব করেন তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০০৬ সালে ডুয়িং বিজনেস সূচকে আমাদের অবস্থান ছিল ৬৫তম, ভিয়েতনামের অবস্থান ৯৯ তম। আর ২০১৯ সালে এসে আমাদের অবস্থান ১৭৬ তম এবং ভিয়েতনামের অবস্থান ৬৯ তম। সূচকটির উন্নয়নে আমরা দ্রুততম সময়ে বিডা,বেজা ও হাইটেক পার্কের সমন্বয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেখতে চাই। এক্ষেত্রে ডিসিসিআই ভবনেও একটি ইউনিট খোলা যেতে পারে,যেখান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বিভিন্ন সেবা পাবেন।
নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে তিনি ব্যাংক ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজেটে আনার প্রস্তাব করেন।
সংগঠনটি ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বাড়াতে স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন এবং ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।