ঘুষ-দুর্নীতির ফাঁক-ফোকড় বন্ধ করাই হলো দুদকের উদ্দেশ্য : দুদক চেয়ারম্যান
জিল্লুর রহমান
দুর্নীতি কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন ঘুষ-দুর্নীতির ফাঁক-ফোকড় বন্ধ করাই হলো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, যে সব কর্মকর্তা ঘুষ নেন কিংবা দুর্নীতি করেন, তারা যেমন অসৎ আবার যারা দায়িত্ব পালন করেন না তারাও অসৎ।
দুদক চেয়ারম্যান আজ রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদক কর্মকর্তাদের ভূমি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পদ্ধতিগত কারণেই এদেশে ঘুষ লেন-দেন সবচেয়ে সহজ কাজ। যাদের মান-সম্মানের ভয় নেই, কোনো আত্মমর্যাদা নেই, তাদের পক্ষে ঘুষ নেয়া সত্যিই সহজ। এই লজ্জাহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হলে দুদক কর্মকর্তাদের এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে ঘুষ খোরেদের আইনের আওতায় এনে লজ্জা পাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।
তিনি বলেন, পদ্ধতিগত সংস্কার ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের পক্ষ থেকে ২৭টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করা হয়েছে । এদের উদ্দেশ্য ঘুষ-দর্নীতির ফাঁক-ফোকড় বন্ধ করা।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজে দুর্নীতিমুক্ত না থাকলে এবং চলন-বলন তথা আচরণের উৎকর্ষতা না থাকলে কেউ শ্রদ্ধা করে না। এটাও সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত কাজের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পায় বলেও জানান তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনের কর্মকর্তাদের মানসম্পন্ন তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
অসাধারণ জ্ঞান, হোমওয়ার্ক এবং কর্মস্পৃহার সমন্বয় না থাকলে কার্যকর অনুসন্ধান বা তদন্ত করা যায় না জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে দুদকরে মহাপরচিালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্তৃতা করেন। কমিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ত্রিশ কর্মকর্তা এতে অংশ গ্রহণ করেন।