গ্রন্থমেলায় তেইশ দিনে ৩৮০৬টি নতুন বই প্রকাশ, শীর্ষে কবিতা

আসাদুজ্জামান

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তেইশ দিনে মোট ৩ হাজার ৮শত ৬টি নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে কবিতার বই ১ হাজার ২৭১টি।
বাংলা একাডেমি থেকে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতি বছর এই মেলায় র্শীর্ষ অবস্থানে থাকে কবিতার বই। এবারও একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। মেলায় প্রতি বছর অসংখ্য নতুন লেখকের প্রথম কবিতার বই প্রকাশ পায়। এ বছর শতাধিক নতুন লেখকের প্রথম বই প্রকাশ পেয়েছে বলে বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়।


মেলার তেইশতম দিবস গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকাশিত মোট বইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ছোট গল্পের বই ৬২০টি। তৃতীয় অবস্থায় রয়েছে উপন্যাস ৫৭৬টি। চর্তুর্থ অবস্থানে প্রবন্ধ ২১৫টি এবং পঞ্চম অবস্থানে শিশুতোষ ১৯৯টি। এর পরেই রয়েছে জীবনীগ্রন্থ ১৩১, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৯৩, ছড়ার বই ৯৯, গবেষণা ৬৩, বিজ্ঞান ৬৪, নাটক ৩৬, ভ্রমণ ৭২, ইতিহাস ৬৪, রচনাবলী ১০, রাজনীতি ২৭, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ২৩, কম্পিউটার ২১, রম্য ২৫, ধর্মীয় ২০, অনুবাদ ৩২, অভিধান ৪, গোয়েন্দা ৪১ এবং অন্যান্য বিষয়ে ২৬৭টি বই নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে।


কবিতার বইয়ের শীর্ষ অবস্থান নিয়ে বিশিষ্ট কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন বলেন, বাংলাদেশ কবিতার দেশ, ভাষা আন্দোলনের দেশ, ভালবাসার দেশ, সংস্কৃতির জাগরণের দেশ। বইমেলায় কবিতার বই প্রতিবছরই শীর্ষে থাকে। এটাকে তিনি সাহিত্যের জন্য ইতিবাচক দিক আখ্যায়িত করে বলেন, ব্যাপকভাবে কবিতার চর্চা হচ্ছে। নতুন নতুন কবি আসছেন। যারা ভাল লিখবেন তারাই আমাদের ভবিষ্যতে কাব্য সাহিত্যের নেতৃত্ব দেবেন।


ছোট গল্পের বই প্রকাশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার বিষয়টি সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে মন্তুব্য করেছেন সৃজনশীল কথাশিল্পী বুলবুল চৌধুরী । তিনি আজ বাসসকে জানান, ছোট গল্পের এতো বই মেলায় প্রকাশ পেয়েছে, তা জেনে তার খুবই ভাল লাগছে। তিনি বলেন, প্রকাশিত বইগুলোর মান কতটা সেটা সময় বিচার করবে। অসংখ্য নতুন গল্পকারের বোধ হয় প্রথম বইটি এবারের মেলায় এসেছে। এটা সাহিত্যের জন্য ভাল দিক।


লেখক, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি মফিদুল হক এবারের মেলায় এ পর্যন্ত সোয়া দুইশত প্রবন্ধ ও গবেষনার বই প্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিপুল গবেষণা হচ্ছে দেশে। নতুন নতুন গবেষক ও প্রবন্ধকার পাচ্ছি আমরা। মেলায় প্রবন্ধের এতো বই প্রকাশই তার প্রমাণ দিচ্ছে। এটা খুবই ভাল দিক। এভাবেই একদিন আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ইতিহাস ও মৌলিক বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়ে যাবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *