উড়োজাহাজ জিম্মির চেষ্টা পরাহত, যুবক নিহত
হাতে আগ্নেয়াস্ত্র আর শরীরে বোমা সদৃশ বস্তু পেঁচিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজে উঠে জিম্মির চেষ্টা প্রতিহত করেছে বাংলাদেশের যৌথ সামরিক বাহিনী। জিম্মির চেষ্টা চালানো ওই যুবক নিহত হয়েছেন। তবে উড়োজাহাজটির সকল যাত্রী এবং কেবিন ক্রু সবাই নিরাপদে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী ফ্লাইটে উঠে পড়েছিলেন ওই যুবক। তিনি পাইলটের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার ‘পারিবারিক সমস্যা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন বলে বিমানযাত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তা ঘিরে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডোরা। কমান্ডো অভিযান শুরুর ৮ মিনিটের মধ্যে সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থার বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান।
রাত ৮টার দিকে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেছিলেন, ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীকে জখম অবস্থায় আটক করা হয়েছে। তার পৌনে ১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জানান, আহত ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম ‘মাহাদী’ এবং তার বয়স ২৬/২৭ বছর- শুধু এতটুকুই বলতে পেরেছেন অভিযানে থাকা সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা। তার আর কোনো পরিচয় তারা দিতে পারেননি, পারেনি তার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও কিছু জানাতে।