কম্বোডিয়াকে হারাল বাংলাদেশ
ভালো ফুটবল খেলে জয় চাই, বাংলাদেশ যাতে র্যাংকিং পয়েন্ট বাড়াতে পারে- কম্বোডিয়া যাওয়ার আগে এমন লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ কোচ ডেমি ডে’র। পাশাপাশি এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ের আগে মনোবল চাঙ্গা করে নেয়ার মিশনও ছিল। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে সব লক্ষ্যই পূরণ হলো এ ব্রিটিশ কোচের। নমপেন জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১-০ গোলে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে পুরো কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও সুযোগ এসেছিল। প্রাপ্ত সুযোগ হেলায় নষ্ট করেন বাংলাদেশী ফরোয়ার্ডরা। বিরতির পর একাধিক খেলোয়াড় বদল করেন জেমি ডে। খেলায় গতিও বাড়ে বাংলাদেশের। তার সুফল হিসেবেই ৮৩ মিনিটে একমাত্র গোল আসে। বিপলু আহমেদের বদলি হিসেবে মাঠে আসা আরামবাগ মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের একমাত্র গোলে জয় নিশ্চিত হয়। বাম দিক থেকে সুফিলের কাটব্যাকে ছোট বক্সের মধ্যে থেকে বল জালে পাঠান রবিউল। জাতীয় দলের হয়ে এটি ছিল তার প্রথম গোল।
তার আগে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে সুযোগ তৈরি করেছিল স্বাগতিকরা। মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে পাওয়া পাসে বিপজ্জনকভাবে ডিফেন্ডার সাথ রসিব বক্সে প্রবেশ করেছিলেন। গোলরক্ষক আশরাফুল রানা সময়মতো এগিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করে পরিস্থিতি সামাল দেন। ১২ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে বিপলুর শট গোলরক্ষক হুল কিমহুয়ে কর্নারের বিনিময় রক্ষা করেন। ১৪ মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন জীবন। ৪১ মিনিটে বিপলু বাম দিক থেকে বক্সে বল বাড়ালেও জীবন তা ধরতে পারেননি; পরবর্তীতে মাশুক জনির কাটব্যাক থেকে ফাহাদের অন-টার্গেট শট কম্বোডিয়া অধিনায়ক চানপলিন ফিরিয়ে দেন। ৪৪ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল বের করে নিলেও জীবন দুর্বল শটে সুযোগ নষ্ট করেন।
‘ম্যাচটা আমরাই নিয়ন্ত্রণ করেছি। এটা আমার দলের কৃতিত্ব। কম্বোডিয়া দূরপাল্লার শটে চেষ্টা চালিয়েছিল। ম্যাচে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ফল। ছেলেরা নৈপুণ্য দেখিয়েছে। জয়টা ছিল দুর্দান্ত। জয় আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’—ম্যাচের পর বলেন জেমি ডে।
ম্যাচের পর সতীর্থদের কৃতিত্ব দিলেন জয়ের নায়ক রবিউল, ‘সতীর্থদের ধন্যবাদ, বিশেষ করে ফাইনাল পাস দেয়া সুফিলকে। আমি কখনো ভাবিনি আমার গোলেই বাংলাদেশ জিতবে। এজন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। গোল করতে পেরে আমি অনেক খুশি। কোচ বলেছেন, তোমাকে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলাব। সবসময় মনোযোগটা মাঠেই রাখতে হবে। ম্যাচের শুরু থেকেই আমি বেশ মনোযোগী ছিলাম। মাঠে নামার পর তাই মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি।’
মূলত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্যই প্রীতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের পর কম্বোডিয়া থেকে দেশে ফিরবেন দলের সদস্যরা। পরবর্তীতে দল কাতারে যাবে। সেখানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রীতি ম্যাচও খেলবে লাল-সবুজরা।
কাতার থেকে বাছাই খেলতে বাহরাইন যাবে বাংলাদেশ দল। বাছাইয়ের ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন, শ্রীলংকা ও স্বাগতিক বাহরাইন। ২২ মার্চ স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাছাই পরীক্ষা শুরু। ২৪ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন। ২৬ মার্চ শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা।