মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক গণসচেতনতা : দুদক চেয়ারম্যান

লোপা রাকিব,

মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক গণসচেতনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেন, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সমন্বিত এবং সম্মিলিত উদ্যোগেরও কোনো বিকল্প নেই।
দেশে উন্নয়ন হচ্ছে একথা সত্য। তবে মাদক এবং দুর্নীতি নির্মূল না করে উন্নয়ন করলে তা টেকসই নাও হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন আমরা মাদককে না বলি, আমরা দুর্নীতিকে না বলি, আমরা আমাদের মেধা ও মননের সর্বোচ্চ বিকাশ স্াধন করি। আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করি। এই হোক আজকের অঙ্গীকার।

দুদক চেয়ারম্যান আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে “বাংলাদেশের তরুণ সমাজ ও মাদকাসক্তি : বর্তমান পরিস্থিতি” শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নেশা তারপর চরম হতাশা এবং জীবন নামক স্বপ্নের মৃত্যু। আমরা হতাশায় নিমজ্জিত এমন প্রজন্ম সৃষ্টি হোক তা চাই না। সিদ্ধান্ত তোমাদেরই নিতে হবে।
তিনি বলেন, দুদক আইন অনুসারে মাদক সংক্রান্ত অপরাধ আমাদের আওতাভুক্ত নয়। তারপরও আমরা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে তাদের তালিকা চেয়েছিলাম মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে নিকট। তাদের দেয়া তালিকা অনুসন্ধান করে আমরা এ পর্যন্ত ১২ জনকে প্রসিকিউট করেছি। কমিশনের মামলায় কেউ কেউ কারাগারেও গিয়েছেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দফতর এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহ্জাবীন হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংন্থা মানস এর সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী ।

মূল প্রবন্ধে ড. চৌধুরী বলেন, বর্তমান মাদকাসক্তদের পরিসংখ্যান না থাকলেও বেসরকারিভাবে দেশে ৭৫ লাখের বেশি মাদকাসক্ত রয়েছে এবং এসব মাদকসেবীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই যুবক, তাদের ৪৩ শতাংশ বেকার এবং ৫০ শতাংশ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *