সিনহাকে দেশে ফেরাতে কাজ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট প্রতিনিধি,

লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
আইন মন্ত্রণালয় চাইলে দুদকের মামলার আসামি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করবে। জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

গত বছরের অক্টোবরে দেশ ছাড়া সে সময়ের প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গত ৪ জুলাই কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশ ছাড়া সিনহা সে সময় দেশে না ফিরে সিঙ্গাপুর দূতাবাসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান। আর সেখান থেকে চলে যান কানাডায় মেয়ের কাছে।

কিছুদিন থেকে সিনহা যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেও তিনি ও তার স্ত্রী রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে, তার সেই আবেদন নাকচ হয়েছে এবং সিনহা ও তার স্ত্রী এরপর আবার ফেরেন কানাডায়।

এরই মধ্যে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। তবে তিনি দেশে না থাকায় এই মামলা কী হয়, এ নিয়ে আছে প্রশ্ন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাবেক প্রধান বিচারপতি ছাড়াও কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্পের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আলোচনায় আনা প্রিয়া সাহা প্রসঙ্গে। প্রিয়া অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান গায়েব হয়ে গেছে। বর্তমানে বসবাসকারী এক কোটি ৮০ লাখ হিন্দুও নির্যাতনের শিকার।

এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর প্রিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একাধিক মামলার আবেদন হয়। কিন্তু তা নাকচ হয়েছে আদালতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘প্রিয়া সাহার ব্যাপারে হুট করে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। এক্ষেত্রে তার অবস্থা বিবেচনা করা হবে।’

প্রিয়ার বক্তব্যে কোনো রাজনৈতিক দলের ইন্ধন আছে কি না- এমন প্রশ্নে মোমেন বলেন, এ ব্যাপারটি তাঁর জানা নেই। সে ব্যাপারে প্রিয়া সাহাই ভালো বলতে পারেন। যদিও প্রিয়া সাহার বক্তব্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকও উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *