লামায় উদ্ধার বিপন্ন প্রজাতির ভাল্লুক ছানাটি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে

মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি

বান্দরবান : লামা উপজেলায় পাওয়া গেছে প্রায় বিপন্ন প্রজাতির একটি কালো ভালুকের ছানা। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি ইয়াংছা এলাকার জিনামেজু অনাথ আশ্রম সংলগ্ন পাহাড়ে ছানাটি পাওয়া যায়। উদ্ধারের পর বুধবার বিকালে ছানাটি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করে বন বিভাগী কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ-ছয় মাস বয়সী দলছুট ওই ভালুকটি ইয়ংছা মৌজার জিনামেজু আশ্রমের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় একটি কুকুর সেটিকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে ভালুক ছানাটি গাছে উঠে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গাছ থেকে নামিয়ে ছানাটিকে আশ্রমে নিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা ভালুক ছানাটিকে নিজেদের জিম্মায় নেন। পরে বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু সাপারি পার্কের তত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলামের নিকট ছানাটি হস্তান্তর করেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার। এ সময় সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা নূরে আলম হাফিজ, অফিস সহকারী কাজী গোলাম সরোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার তাদের রেড লিস্টে এশিয়ান কালো ভালুককে ‘ভালনারেবল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে এরা এখনও টিকে আছে। তবে অব্যাহতভাবে বন ধ্বংস হওয়ায় এশিয়ান কালো ভালুক বাসস্থান ও খাদ্য সঙ্কটে পড়ে প্রায় বিপন্নের পথে।

ভাল্লুকের ছানা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা বিভাগীয বন কর্মকর্তা এস. এম কায়চার জানান, ছানাটি ভালো আছে। যেহেতু এটি দলছুট হয়ে গেছে এবং বয়স কম, তাই বনে ছেড়ে দিলে বিপদে পড়তে পারে। সেহেতু ভালুক ছানাটিকে সংরক্ষণে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাস্থ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর হয়েছে।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: