পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা কমিটি ঘোষণা

মোহাম্মদ আলী, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

বান্দরবান : “সর্বক্ষেত্রে পাবর্ত্য এলাকার সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে” এই মুল লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা কমিটির ঘোষানা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ২৬আগস্ট বুধবার বেলা ১২টায় বান্দরবানের স্থানীয় এক রেস্তোরার সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর কেন্দ্রীয় নেতা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা কমিটি’র সভাপতি কাজী মো. মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবা জেলা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসিরুল আলম এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আলহাজ্ব মো. তারুমিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি মাও: ইউসুফ হোসেন মুনিরী, সহ-সভাপতি হাজ্বী আব্দুস শুক্কুর, সহ-সভাপতি নুরুল আলম প্রকাশে (আলম মাঝি), পৌর শাখার সভাপতি শামসুল ইসলাম সামু, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ্ জালাল রানা, দপ্তর সম্পাদক মো. এনায়ত হোসেন সজল, অর্থ সম্পাদক মো. আব্দুল আলিম মনু প্রকাশ (মনু কোম্পানী), মো. গোলাম সরওয়ার ফারুক, মো. আয়ুব, মো. আব্দুল হক, মো. কামাল সওদাগর, মো. এরশাদ চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা মো. মিজানুর রহমান আখন্দ, বান্দরবানে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীন বাংলাদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা কমিটি ঘোষনা করা হচ্ছে। নাগরিক পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের অখন্ড রক্ষা এবং মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল কর্মকান্ডকে রুখে স্বাধীন দেশে আরেকটি “স্বাধীন জুম্মল্যান্ড” নামক অপরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পায়তারাকে প্রতিহত করা সহ স্বাধীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, সমতার ভিত্তিতে শিক্ষা, ব্যবসা, চাকুরী, কর্মসংস্থান সহ বসবাস ও উন্নয়নে সমতা প্রতিষ্ঠা করা সকলকে নিয়েই সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সহযোগিতা করাই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর মূল লক্ষ ও উদ্দশ্যে।

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তির করার পর এখনো পাহাড়ে বান্দরবান সহ তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ের সন্ত্রাসী কৃর্তক হত্যা অপহরণ চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নী।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: