ই-ক্যাব নির্বাচন ২০২২: অগ্রগামী প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক

ঢাকা : ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আগামী দুই বছরের (২০২২-২০২৪) জন্য অগ্রগামী প্যানেলের ভিশন ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। দেশের ই-কমার্স খাতের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা অগ্রগামীর ‘মিশন ২০২৬’ তুলে ধরেন।

ই-কমার্স খাতে গত কয়েক বছরের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে আম্বারীন রেজা বলেন ‘নির্বাচিত হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ও দশ লক্ষ কর্মসংস্থানের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবো আমরা।’

এর পাশাপাশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে ও ই-কমার্সে নতুন উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে একটি স্টার্টআপ অ্যাকাডেমি ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করার ঘোষণা দেন আম্বারীন রেজা। দেশীয় স্টার্টআপের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি বাড়ানো, ইনভেস্টরদের সাথে সংযোগ তৈরি করা, বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আরও দক্ষ করা এগুলো হবে সেই স্টার্টআপ অ্যাকাডেমির কাজ। এক কথায়, একটা স্টার্টআপকে গ্লোবালি এগিয়ে নিতে সবধরণের সহায়তা ও মেন্টরশিপের ব্যবস্থা করা হবে ই-ক্যাবের মাধ্যমে।

অগ্রগামী প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা করেন দেশের লজিস্টিকস খাতের অন্যতম সফল উদ্যোক্তা পেপারফ্লাই লিমিটডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার হাসান। সদস্যদের জন্য অগ্রাধিকার সেবা ও তাদের দক্ষতার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে শাহরিয়ার হাসান বলেন, ‘সদস্যদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার পরিধি বাড়ানো হবে ও উদ্যোক্তাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্যোক্তাদের সচেতন রাখতে তাদের জন্য আলোচনা ও কর্মশালা আয়োজন করা হবে। সর্বোপরি, দীর্ঘমেয়াদে আগামী চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব বাজারে নিয়ে যেতে ই-ক্যাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও সদস্যবান্ধব ইক্যাবের কথা উল্লেখ করে অগ্রগামী প্যানেলের প্রধান শমী কায়সার বলেন, ‘আমরা ইক্যাবকে একটি সদস্যবান্ধব অন্তর্ভূক্তিমূলক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। পাশাপাশি, জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ই-ক্যাবের সদস্যদের মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করেছি। নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ানোসহ সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করবো। এছাড়া, আমরা দক্ষ জনবল ও সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি শক্তিশালী কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে চাই, যারা আমাদের দেশের ই-কমার্স খাতকে সামনে এগিয়ে নেবে।’

ডিজিটাল পেমেন্টের ওপর গুরুত্বারোপ করে অগ্রগামী প্যানেলের অন্যতম সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘ই-ক্যাবের প্রসারমাণ কার্যক্রমকে সুসংহত করতে ও সংগঠনের নিজস্ব সচিবালয় ভিত্তিক কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছি। যার মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের ই- কমার্স খাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ‘ক্রস বর্ডার পলিসি’ ও ডিজিটাল পেমেন্টকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’

ইশতেহার ঘোষণার সময় অগ্রগামী প্যানেলের সদস্যসহ প্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অগ্রগামী প্যানেলের সদস্যরা হচ্ছেন- শমী কায়সার (ধানসিঁড়ি ডিজিটাল), মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল (কম্পিউটার জগৎ), মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন (ডায়াবেটিস স্টোর), নাসিমা আক্তার (রিভারি), আসিফ আহনাফ (ব্রেকবাইট), মোহাম্মদ সাইদুর রহমান (ডিজিটাল হাব), এম ডি রুহুল কুদ্দুস ছোটন (ফোকাস ফ্রেম), শাহরিয়ার হাসান (পেপার ফ্লাই) এবং সৈয়দা আম্বারীন রেজা (ফুডপ্যান্ডা)।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) নির্বাচন। এ নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৭৯৫ জন।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন: