হিমালয় জয়ী শাকিল এলেন নগদ কার্যালয়ে, ছড়ালেন উষ্ণতা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকা : দুর্গম ‘গ্রেট হিমালয় ট্রেইল’ জয় করে দেশে ফিরেই নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুককের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে ছুটে আসেন অভিযাত্রী ইকরামুল হাসান শাকিল।

হিমালয়ের ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটারের ‘গ্রেট হিমালয় ট্রেইল’ জয় করে আর্থিক সংকটের কারণে নেপালেই আটকা পড়েন দুর্লভ অর্জনের অধিকারি শাকিল। সংবাদপত্রের মাধ্যমে খবরটি জেনে শাকিলকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন তানভীর এ মিশুক।

পরে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহায়তায় দেশে ফেরেন তিনি। এই ঘটনায় নিজের ভালো লাগা প্রকাশ করতে গত মঙ্গলবার নগদ কার্যালয়ে আসেন শাকিল।
বাংলাদেশের প্রথম অভিযাত্রী হিসেবে বিশ্বের অন্যতম দুর্গম অভিযান ‘দ্য গ্রেট হিমালয় ট্রেইল’ সম্পন্ন করেছেন গাজীপুরের শাকিল। এখন অবধি বিশ্বের মাত্র ৩২ জন মানুষ এই ট্রেইলে অভিযান সম্পন্ন করেছেন। ৩৩তম মানুষ হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখানোর পর দেনাগ্রস্থ হয়ে শাকিল আটকে গিয়েছিলেন নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে।

অভিযান চলার সময় হাতের অর্থ খরচ হয়ে যাওয়ায় কোনো রকম ধারদেনা করে ১০৭ দিনে যাত্রা শেষ করেন। কিন্তু অভিযান শেষে দেনার অর্থ না পরিশোধ করে দেশে ফিরতে পারছিলেন না তিনি। এই সময়ে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় অবশেষে সব দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে দেশে ফেরেন শাকিল। তখনই ত্রাতা হয়ে হাজির হন নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

দেশের প্রতি অসম্ভব গৌরবের অর্জন বয়ে আনায় তানভীর এ মিশুক শাকিলকে অভিবাদন জানান। আর তাতে আরো অপ্লুত হয়ে পড়েন শাকিল। তিনি বলেন, ‘আমি তখন অভিযান শেষ করার পর হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলাম। নগদ এবং তানভীর ভাইকে ধন্যবাদ যে তারা আমাকে এবং বাংলাদেশের সম্মান উদ্ধার করেছেন।’ শাকিল বলেন, ‘নেপাল সরকারের নতুন নিয়মের কারণে এই ট্রেইল জয় করার পথে আমাকে বেশ কিছু ধার করতে হয়েছিল। সেটা পরিশোধ করতে না পেরে আমি আটকে গিয়েছিলাম কাঠমাণ্ডুতে। এই খবর পত্রিকায় পড়ে তানভীর ভাইয়া আমার পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ঢাকায় আমার বন্ধুদের ডেকে প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে তুলে দেন। নগদ ও তানভীর ভাইয়ের কারণেই আমি দেশে ফিরতে পেরেছি। এ জন্য আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ছেলে শাকিল ছোটবেলা থেকেই নানারকম সামাজিক কাজে জড়িত। তাঁর বড় হয়ে ওঠার পর রোমাঞ্চের টানে জড়িয়েছেন অভিযানে। উত্তরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করার পর যুক্ত হন ‘বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব’-এ। পর্বতারোহনের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রা করেন কেয়াজো-রি পর্বতশৃঙ্গে। ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে আরও প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৯ সালে আবার বেরিয়ে পড়েন পর্বত গিরির দুর্গম পথে।

এরপর লক্ষ্য ঠিক করেন এই হিমালয় ট্রেইল। সেটি জয় করে গত ৯ জুলাই কাঠমাণ্ডু পৌঁছান তিনি। তবে ধারদেনা শোধ করতে তাঁর আরো প্রায় তিন সপ্তাহ লেগে যায় বলেই দেশে ফিরতে দেরি হয়েছে।

মৈত্রী/এফকেএ/এএ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *