পর্তুগালের অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠিন হচ্ছে
মো. নুরুজ্জামান সেলিম, পর্তুগাল
পর্তুগালের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। সম্প্রতি পর্তুগিজ ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ) পুনর্গঠিত হয়ে এজেন্সি ফর ইন্টিগ্রেশন মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম বা আইমাতে (এআইএমএ) রূপান্তরিত হয়েছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেমের (এসআইএস) অ্যালার্ট প্রক্রিয়া পর্তুগালের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কার্যকর করার কারণে অভিবাসীরা দেশটিতে নিয়মিত হতে জটিলতায় পড়ছেন।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। তারপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে যখন পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থিত হন তখন জানতে পারেন, তার অন্য দেশে বসবাসের তথ্য অথবা অ্যালার্ট রয়েছে। ফলে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার পরও বর্তমানে তাদের পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
নবগঠিত অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি শুধু অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের গ্রহণ এবং তাদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া তদারকি করবে। সীমানা নিয়ন্ত্রণ তথা এয়ারপোর্ট ও নৌবন্দরগুলোতে পুলিশ, জিএনআর ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করবে। আর মানবপাচার এবং অনিয়মিত অভিবাসন সংক্রান্ত প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় পুলিশকে।
পর্তুগিজ বর্ডার ও ইমিগ্রেশন সার্ভিসের পুনর্গঠনের পর অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ অথবা বসবাসের অনুমতি প্রদানে দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। অন্যদিকে সীমানা নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে পাঁচটিরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্থা কাজ করবে। এর ফলে পর্তুগালে যারা নিয়মিত হবেন তাদের বিভিন্ন তথ্য আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশেও প্রতিবন্ধকতা থাকবে।