পর্তুগালে আবাসন সংকট, বিপাকে বাংলাদেশিসহ অভিবাসীরা
মোহাম্মদ নুরুজ্জামান সেলিম, পর্তুগাল
পর্তুগালে আবাসন সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাড়ি ভাড়া বিবেচনায় দেশটি বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। বর্তমানে পর্তুগালে চলমান আবাসন সংকটের পিছনে অপরিকল্পিত আবাসন পরিকল্পনা ও সরকারের সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাস্তবেও তার প্রমাণ হলো গত বছরই পর্তুগালে আবাসন মন্ত্রণালয় নামে একটি নতুন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হয় এবং এর জন্য মন্ত্রী ও নিয়োগ করা হয়। আগে যা অন্য একটি মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত ছিল।
আবাসন সংকটের আরো কারণ হিসেবে দেখা গেছে পর্তুগালের বিভিন্ন শহরে অনেক পুরনো বাড়ি সংস্কারের অভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও পর্তুগাল পর্যটন আকর্ষণীয় হওয়ায় লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বাড়িগুলোকে হোস্টেল হিসাবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
এমতাবস্থায় পর্তুগিজদের পাশাপাশি আবাসন নিয়ে তীব্র সংকটে পড়েছে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা। বাংলাদেশি অনেক অভিবাসী তাদের পরিবার (স্ত্রী সন্তান) আনার জন্য পর্তুগিজ ভিসা পেলেও বাসার সংকটের কারণে আনতে পারছে না।
পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি কবির মল্লিক (৪৬) বলেন, আমি আমার পরিবার পর্তুগালে নিয়ে আসার জন্য ভিসা পেলেও আবাসন সংকটের কারণে আনতে পারছি না। বর্তমানে এক রুমের একটি বাসা ভাড়া নিতে যে পরিমাণ ভাড়া গুনতে হবে তা আমার বেতনের পুরোটা চলে যাবে। তাই আমি এখন বাধ্য হয়ে সাবলেট খুঁজতেছি।
যদিও গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। এ সমস্যা সমাধানে বর্তমান ক্ষমতাসীন সোসালিস্ট পার্টি নতুন আবাসন বিল অনুমোদনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও আবাসন সংকট এখনো কাটেনি।