নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে বাংলাদেশি ‘ইমিগ্র্যান্ট ডে ও বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা

স্টাফ রিপোর্টার/লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

উৎসবমুখর পরিবেশে নিউইয়র্ক-এর জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে ও বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলা’ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার এই মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সাবিনা হাই উর্বী ও মোঃ মোস্তফার সঞ্চালনায় শ্রী চিন্ময় সেন্টারের শিল্পীদের মনোরম সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দীন, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, শিশু-সাহিত্যিক ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই দিনটিকে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে হিসেবে ঘোষণা করার জন্য এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে সিনেটর টবি এ্যান স্ট্যাভেস্কি রেজ্যুলেশন আকারে উত্থাপন করেন।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের তিন বছরের প্রচেষ্টার পর এ বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাবটি সিনেটে রেজ্যুলেশন আকারে পাশ হয়।

এখন থেকে নিউইয়র্ক স্টেট ক্যালেন্ডারে ২৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এটি বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ হিসাবে পালিত হবে।

নিউইয়র্ক স্টেট কর্তৃক ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ রেজ্যুলেশন পাশ করার পর এবারই প্রথম দিনটি পালন করছে এনআরবি ওয়াল্ডওয়াইড ইঙ্ক। নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ রেজ্যুলেশন পাশ করার ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সিনেটর জন লু রেজ্যুলেশনটি মন্ত্রীর হাতে হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের কৃতিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ‘স্বপ্নের স্মারকটি হাতে তুলে দিতে পেরে তিনি আনন্দিত’।

মেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যসমাগ্রীর স্টল ছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ও তাঁর ওপর লিখিত শ্রেষ্ঠ গ্রন্থগুলোর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রকাশিত বই ছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে প্রকাশিত কিছু নির্বাচিত ও দুর্লভ গ্রন্থ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর মেলা শেষ হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *