নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেছে বাংলাদেশি যুবকের পা
রশিদ আহমদ, স্টাফ রিপোর্টার :
বান্দরাবান : নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের জামছড়ি ৮নং ওয়ার্ডের ৪৬,৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৮টার সময় কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া হাজির পাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ বেলাল(৩৬) মিয়ানমারের ভিতরে গিয়ে গরু আনতে গেলে মাটির ভিতরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ফজরের নামাজ আদায় করার সময় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার সংলগ্ন ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডে দুইটি প্রকট শব্দ শুনা যায়। তখন নামাজ শেষে স্থানীয়রা ঘটনার বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানাযায় রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নেন পূর্ব হাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হাশেমের পুত্র মুহাম্মদ বেলাল মাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে যায় ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরও জানান, বেলাল একজন মাদক কারবারির সদস্য। এর আগেও সীমান্ত থেকে ইয়াবা মাদক পাচারের সময় হাতেনাতে আটক করে বিজিবি। সে জেল থেকে বের হয়ে আবারও পুরাতন ইয়াবা কারবারে জড়িত হয়েছে বলে ধারনা করছে অনেকে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে সস্তা দামে গরু আনতে গিয়ে আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন এখনো।
এব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত বিষয়ে তিনি অবগত হয়েছেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবগত করছি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তদন্ত পরিদর্শক মোঃ শাহাজাহান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মাইন বিস্ফোরণে বেলাল নামে বাংলাদেশী যুবকের পা উড়ে গেছে শুনেছি তাকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চাকঢালা, আশারতলী, ফুলতলী, কম্বনিয়া, জামছড়ির কয়েকটা পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের চোরাই পথে গরু আর ইয়াবা বড়ি নিয়ে আসছে কয়েকটি সিন্ডিকেটের সদস্য।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ