উজবেকিস্তান আইটি পার্কের সঙ্গে বাক্কোর বিটুবি সেশন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক :
ঢাকা : পারস্পরিক সহযোগিতা, মেলবন্ধন বৃদ্ধি; ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিকাশ এবং বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের বিপিও শিল্পের সার্বিক উন্নতিসাধনের চেষ্টায় “কোলাবরেশন ফর বিজনেস গ্রোথঃ বাংলাদেশ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড আইটি পার্ক, উজবেকিস্তান” শীর্ষক বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনের আয়োজন করল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)। আসন্ন “ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীর গুলশানের একটি কনফারেন্স হলে গত ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেশনটিতে মূলতঃ উজবেকিস্তানের আইটি প্রতিষ্ঠান এবং বাক্কো সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগ ও ব্যবসার সুযোগের ক্ষেত্র আবিষ্কারের দিকে নজর দেয়া হয়। বাক্কো সাধারণ সম্পাদক জনাব তৌহিদ হোসেন ‘আইটি পার্ক, উজবেকিস্তান’-এর সঙ্গে আগামী বছরগুলোতে সহযোগের সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে ‘বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব বিকর্ণ কুমার ঘোষ আগত অতিথিবৃন্দের সম্মুখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নে সরকারের প্রমুখ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন এবং হাই-টেক পার্কগুলোর বর্তমান চিত্র উপস্থাপন করেন।
মূলপর্বের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ‘আইটি পার্ক, উজবেকিস্তান’ প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে একটি বিটুবি সেশন পরিচালিত হয়। সেখানে আইটি পার্কের সহকারী পরিচালক জনাব কুচকারোভ আবদুলআহাদ মারাতোভিচ উজবেকিস্তানের বিপিও শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন এবং নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতার ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে সবাইকে অবগত করেন। সেশনটি পরিচালনায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন আইটি পার্ক বিপিও বিভাগের ব্যবস্থাপক জনাব ফারুকজ এরকিনোভ এবং আইটি একাডেমির পরিচালক জনাব দিমিত্রি তেন। সেশনের শেষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয় যেখানে বাক্কোর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের নানান প্রশ্নের জবাব দেন আগত উজবেক অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ। তিনি তাঁর বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং বিপিও শিল্পের প্রসারের নিমিত্তে বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষণে গৃহীত নানামুখী কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সহযোগ ও মৈত্রীর বন্ধন গড়ে তুলতে এধরণের বিটুবি সেশনের অনস্বীকার্যতার প্রতি আলোকপাত করেন।
সমাপনী ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনকারী বক্তব্যে বাক্কো সভাপতি জনাব ওয়াহিদ শরীফ উজবেকিস্তান হতে আগত প্রতিনিধি দলটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং আগামী দিনগুলোতেও পারস্পরিক সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করে বাক্কো আয়োজিত আসন্ন “বিপিও সামিট ২০২৩” উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানান।
সেশনটিতে চল্লিশটি বাক্কো সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এই সেশন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষার্থী ও কর্মী বিনিময়, আন্তর্জাতিক বাজারে কাজের বৃহত্তর ক্ষেত্র তৈরি, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও সর্বোপরি দুই দেশেরই বিপিও শিল্পের বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে, এমনটাই আশাবাদ সকলের।
বাক্কো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব তানজিরুল বাসার এবং পরিচালকবৃন্দের মধ্য থেকে ডাঃ তানজিবা রহমান, জনাব কাওসার আহমেদ, জনাব মুসনাদ ই আহমেদ, জনাব একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু ও জনাব ফজলুল হক অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।
মৈত্রী/এফকেএ/এএ