প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে করা মামলায় বাউফে সদস্য কারাগারে
সাইয়্যদ মো: রবিন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তারকে। শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান মাহফুজা আক্তারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরে বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এ সময় তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়।
অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ১২ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী মামলা আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আদালতে মামলাটি করা হয়। এ মামলার বাদী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়ামোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে হীন মানসিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ ফুটবল সংগঠকদের মানহানির উদ্দেশে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, পিএম হিসেবে সব খেলাই তার কাছে সমান। সেখানে কেন দু’চোখে দেখবে? মেয়েরা ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা, অভিনন্দন তো দিতে পারে, মিডিয়ায় কি কোনো অভিনন্দন জানাইছে? বিএফএফের টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে দেয়াব? বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছ থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।
কিরণের এমন বক্তব্য বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়। তার এমন বক্তব্যে বাদীর ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে মর্মে আদালতে মামলাটি করা হয়।