দূতাবাসগুলোকে অভিবাসীবান্ধব হতে পরিকল্পনামন্ত্রীর আহ্বান
প্রবাসে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তাদের অভিবাসী বান্ধব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দূতাবাসগুলো হতে হবে শ্রমিকবান্ধব এবং কর্মী প্রেরণের প্রাণকেন্দ্র্র। দূতাবাসগুলোকে আরও অভিবাসী বান্ধব হতে হবে। একই সাথে দূতাবাসগুলোকে চব্বিশ ঘণ্টা প্রবাসীদের সেবা প্রদান করা উচিত। এ জন্য দূতাবাসে কর্মরতদের আরও বেশি সেবামূলক মনোভাব নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়াসংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নারী কর্মী প্রেরণ স্পর্শকাতর বিষয়। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে বাস্তবতার আলোকে নতুন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয় করে আমাদের প্রবাসী কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করতে হবে। একই সাথে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী প্রেরণে জোর দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিরাপদ শ্রমঅভিবাসনসহ অর্থনীতির নানাক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তসংযোগ বাড়াতে হবে। মানুষ, শ্রম, পুঁজি কোনো বিশেষ এলাকাতে কেন্দ্রীভূত হতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যাণে বৈশি^ক চাহিদা বিবেচনায় কাজ করতে হবে। একই সাথে উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজস্ব মেধা ও সৃজনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নানামুখি উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশকে অভাবনীয় সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের তরুণরা সারা পৃথিবীর নাগরিক হয়ে গড়ে উঠছে। বর্তমান সরকার তরুণদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, তৈরি পোশাক, চামড়া, ঔষধ শিল্প ইত্যাদি খাতের মত বড় কোন অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ছাড়াই অভিবাসন খাত থেকে প্রতি বছর ১৩ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। যা আমাদের জিডিপি’তে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ অবদান রাখছে।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সোয়া ১০ লাখ এবং ২০১৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশ গেছে। চলতি বছর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১২ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্য মাত্রা ধার্য করা উচিত।
প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।