স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
নৌপরিবহন সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণে স্থলবন্দরগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব জমিতে প্রধান কার্যালয় ভবন স্থাপন করতে যাচ্ছে। আজ ঢাকার আগারগাঁও য়ে প্রশাসনিক প্লট নম্বর ১৯ এফ/এ-তে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (উন্নয়ন) মোঃ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ০.২৮ (শূণ্য দশমিক দুই আট) একর জমির ওপর ১৪ তলা ভবনটি নির্মিত হবে। প্রথম পর্যায়ে দু’টি বেজমেন্টসহ ৬তলা ভবন নির্মাণে ১৫ মাস সময় লাগবে। ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন ৬২৪০ বর্গফুট। স্থাপত্য অধিদপ্তরের ডিজাইন অনুযায়ি গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে। এজন্য ব্যয় হবে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সচিব বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণে স্থলবন্দরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তিনি গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে ১২টি স্থলবন্দরের গেজেট করেন। ২০০১ সালে স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হলেও ঢাকায় তাদের প্রধান কার্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। ঢাকায় কারওয়ান বাজারস্থ টিসিবি ভবনে ভাড়া ভিত্তিতে প্রধান কাযালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভাড়া ভিত্তিক অফিসের জায়গা/ স্পেস অনেক কম হওয়ায় চাহিদা মাফিক এর কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।