জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ ৬ জনকে আইনি নোটিশ

ফারহানা হক /লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্টের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক, কাজী ফিরোজ রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম আমিনুল হক, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরা ও প্রভাষক ডা. শ্বাশত ধর সম্রাটকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

সোমবার দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে এই নোটিশ পাঠান বলে তিনি জানান। নোটিশ পাওয়ার পর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উল্লেখিত ৬ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ১৯৭৮ সালের জাতীয় সঙ্গীত রুলস এর ২ ধারা অনুযায়ী, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের শুরুতে ও পরে প্লে করতে হবে। জাতীয় সঙ্গীত প্লে না করলে জাতীয় সঙ্গীত অর্ডার ১৯৭২ এর ৪(এ) ধারা অনুযায়ী ১ বছর পর্যন্ত জেল ও ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানর বিধান রয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮শে আগস্ট বিকেল ৩টায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে জাতীয় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিশেষ অতিথি, কাজী ফিরোজ রশিদ সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ডা. এ কে এম আমিনুল হক এবং ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরাও বক্তব্য রাখেন।

নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, অনুষ্ঠানটি শোক দিবসের হলেও তাতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়নি।

ইউনুছ আলী জাতীয় সঙ্গীতে গাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে চাইলেও তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। নোটিশে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস পালনের সময় আপনারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশেন না করে আইন লংঘন করেছেন এবং সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমূল্যায়ন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন এবং আপনারা আপনাদের পদে থাকতে পারেন না।

নোটিশে আরো বলা হয়, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ২৯শে আগস্ট বিকেল ৪টার পরে জাতির পিতার স্মরণে শোক দিবস পালন করা হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। সেখানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু আপনারা জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতি অশ্রদ্ধা করেছেন।

নোটিশের বিষয়ে অবহিত করার জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *