ঢাবিতে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান

নিউজ ডেস্ক : সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এছাড়াও ২০১৮ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ৫ শিক্ষার্থীকে ‘আতাউস সামাদ স্মারক বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সাংবাদিক আলী হাবিব।
এ সময় অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান ও আবদুল গাফফার চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন যথাক্রমে বিভাগীয় প্রভাষক মার্জিয়া রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে ‘সংবাদপত্রে কলাম : তাৎপর্য ও শৈলী’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান।
এ সময় আবদুল গাফফার চৌধুরীর দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী কবি আসাদ চৌধুরী এবং ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসার দুই কন্যা, বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন মো. নাজমুল হুসাইন, মোস্তফা মো. তাহান, তারেক আল হাসান, ইশরাতুল জাহান শোভা এবং ইসতিয়াক আহমেদ।
আজ মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
উপাচার্য বলেন, আতাউস সামাদ, এবিএম মূসা এবং আবদুল গাফফার চৌধুরী এই তিনজন সমান্তরাল ও ভিন্ন উচ্চতার মানুষ। সংবাদপত্রে কলাম লেখনীর মাধ্যমে সমাজে তাদের একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। আবদুল গাফফার চৌধুরী যে শুধু ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এই অমর গানটি লিখেছেন তা নয় বরং অসাম্প্রদায়িক বাঙালী জাতি গঠনে তার লেখনীতে রয়েছে এক অসাধারণ শক্ত ভূমিকা। ’৭৫ পরবর্তী তাঁর রাজনৈতিক কলাম লেখনীও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাকে পথিকৃতের ভূমিকা বলা যেতে পারে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *