‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ বলছে ক্ষুব্ধ মিজোরাম

ভারতের পূর্বের রাজ্য মিজোরামের জনগণ আরো একবার ক্ষেপেছে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার দূরে এ রাজ্যটি থেকে সড়ক পথে যাওয়া আসা করতে প্রায় সপ্তাহখানেকের ব্যাপার। দূরত্বের জন্য রাজ্যটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রভাব বেশি। তাছাড়া সম্প্রতি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে একজোট মিজোরামের সব দল ও সংগঠন।

কিন্তু কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এবার আরো একধাপ এগিয়ে গেছে মিজোরাম। ‘চীন জিন্দাবাদ’ স্লোগান-পোস্টারে মিছিল বের হয়েছে মিজোরামের রাজধানী আইজলে, সঙ্গে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানও বয়কটের হুমকি দিয়েছে সংগঠনগুলো।

বৃহস্পতিবার আইজলে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী নেসো, এমজেডপি, ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ)-এর যৌথ মিছিল বের হয়। সেখানেই অনেকের হাতে ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ লেখা পোস্টার ছিল। বেশ কিছু পোস্টারে ছিল চীনা ভাষায় লেখাও। নেসোর নেতা রিকি লালবিয়াকমাওইয়ার মতে, বিল নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। তাই কেউ কেউ হয়তো মনে করেছেন, ভারত সরকার যখন আমাদের কথা শুনছে না, তখন চীনের প্রতি হাত বাড়ানোই ভাল। গতকালের মিছিলে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পা মিলিয়েছেন।

এ দিকে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য আসামের বিভিন্ন অংশেও এই বিল-বিরোধী আন্দোলন চলেছে। আজ শুক্রবারও বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশন চালিয়েছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে, আসাম আন্দোলনে শহীদ ৮৫৫ জনের পরিবারকে রাজ্য সরকার যে স্মারক দিয়েছিল তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের পরিবার। আজ শুক্রবার তেজপুর শহীদ পরিবার সমন্বয়রক্ষী পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির আগেই রাজ্য সরকারের দেওয়া স্মারক ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে পরিষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের পাশাপাশি বিজেপি আজ বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের অভিনন্দন সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী, ‘ছয় জনগোষ্ঠীর তফশিলভুক্তি ও অসম চুক্তির ষষ্ঠ ধারা রূপায়ণ হলে তবেই অসম সুরক্ষিত হবে।

তার মতে, একদল পেশাদার আন্দোলনকারী সরকারের সব পদক্ষেপ নিয়েই মানুষকে ভুল বোঝাতে ব্যস্ত। তার পরেও বিজেপিই লোকসভায় জিতবে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আসামের জন্যগণকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘মানুষ পাশে আছেন, সেই সাহসেই বিলকে সমর্থন করছি। বিলটি গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। শুধু আসামের জন্য নয়।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *