স্বাধীনতার অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতার অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে এবং স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যাতে আমাদের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও পরবর্তী প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে শিক্ষকবৃন্দ সে লক্ষ্যে আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাবেন।’
মন্ত্রী আজ বুধবার সকালে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ১৮তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সমাবর্তন বক্তা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম এম শহিদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্ত উদযাপনের সর্বাপেক্ষা উত্তম পন্থা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু সবার, স্বাধীনতা সবার এবং বাংলাদেশও আমাদের সবার। তাই মত ও পথের পার্থক্য ভুলে আসুন সবাই সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে অংশ নেই।
গত ১০ বছরে আমরা দেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব। স্বল্পোন্নত ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিনটি সূচকের মানদন্ডেই বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরো অনেক দূর যেতে হবে। তাই অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সবাইকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *