নির্বাচনের ক্ষমতা থাকছে না আর হাথুরুসিংহের

বাংলাদেশের কোচ থাকাকালে কোচ এবং নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করতেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। মাঝপথে বাংলাদেশ ছেড়ে নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার সময়ও একই শর্ত ছিল হাথুরুর। সেই চাওয়া পুরোটা না মানলেও যেকোনো সিরিজে একাদশ নির্বাচকের দ্বৈত ভূমিকা পেতেন হাথুরু। কিন্তু শ্রীলঙ্কার নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর কোচের ক্ষমতা ছেঁটে ফেলা হলো। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) আজ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে নির্বাচকদের সঙ্গে পরামর্শ করে একাদশ নির্বাচন করবেন অধিনায়ক ও দলের ম্যানেজার।

এসএলসির সাবেক সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা হাথুরুকে সিরিজ-কালীন নির্বাচকের ক্ষমতা দিয়েছিলেন। পূর্ণ নির্বাচক হতে চাওয়ার বিষয়টি তখন এভাবেই আপসরফা করা হয়েছিল। হাথুরু পূর্ণ নির্বাচক হতে পারেননি, কারণ শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইনে জাতীয় দলের কোচের নির্বাচক হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবু ওই পদে থেকেই হাথুরু দল ও একাদশের ওপরে বেশ প্রভাব খাটাতেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে এতটা ক্ষমতা আর কোনো কোচকে দেওয়া হয়নি।

তিন ধরনের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কাকে ১৪ জয়ের বিপরীতে ২৪ পরাজয় এনে দেওয়া হাথুরু আগের মতো আর জোর পাচ্ছেন না। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার স্বার্থে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে সফরকালীন নির্বাচকের ভূমিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এসএলসির গঠনতন্ত্রে কোচকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পর্যায়েই নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান নেই।

হাথুরুর ভূমিকা অবশ্য এখনো থাকবে একাদশ নির্বাচনে। অধিনায়ক, ম্যানেজার, নির্বাচকেরা তার সঙ্গে পরামর্শ করবেন। কিন্তু একাদশ নির্বাচিত হবে শেষের তিনের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *