ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ২৪তম আসরের আজ সমাপনী দিন।

বাণিজ্য মেলায় পছন্দের জিনিস কিনতে উপচে পড়া ভিড়।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পর্দা নামবে আজ। বেলা ১১টায় একদিনের বাড়তি সময় শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য মেলার ২৪তম আসর শেষ হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী।

এদিকে মেলার শেষ সময়ে স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে নানা অফার আর মূল্যছাড়ের জোয়ার চলছে। বিক্রেতারা নেমেছেন প্রতিযোগিতায়। ক্রেতা টানতে হাঁকডাক দিয়ে পণ্য বিক্রি করছেন তারা। একটি কিনলে ১০ টি ফ্রি, অর্ধেক দাম, আখেরি অফার, মেগা অফার চলছে স্টলে স্টলে। মেলায় স্যুট, কোট-ব্লেজারের দাম ১ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। ৬শ’, ৭শ’ কিংবা ৮শ’ টাকায় দর কষাকষি করে ব্লেজার কিনছেন তরুণরা।

এদিকে পোশাকের মধ্যে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় ডজন খানেক বিদেশি স্টলে বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরি বিছানার চাদর, কুশন ও শাল পাওয়া যাচ্ছে। শেষ সময়ে তারও দাম কমিয়েছে। ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ সেটের কাশ্মীরি বেডশিট। তরুণীদের জন্য বাহারি ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে ৪শ’ থেকে হাজার টাকার মধ্যে। টেবিলম্যাট পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।

বালিশ বা সোফার কুশন পাওয়া যাচ্ছে ১শ’ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩শ’ টাকায়। চামড়া, সিনথেটিক, উল আর পাটের তৈরি বাহারি কার্পেট দাম ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা কমিয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। পশমের ৫ ফুট চওড়া আর ৭ ফুট লম্বা আকারের কার্পেট পাওয়া যাচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ টাকায়। সিনথেটিকের সাড়ে ৫ ফুট চওড়া ও ৭ ফুট লম্বা কার্পেট পাওয়া যাবে ২২ হাজার টাকায়। ক্রোকারিজের পণ্যের মধ্যে একটির সাথে ৩টি ৫টি কোথাও কোথায় ১০টি পর্যন্ত ফ্রি থাকছে। এছাড়া বিভিন্ন খাবার পণ্যেও শেষ সময় চলছে বিশেষ মূল্যছাড়।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অভ্যন্তরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ এর সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের নির্মিত শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র শারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড পরিদর্শনে যান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেখানে গিয়ে মন্ত্রী অভিভূত হন। বিশেষ শিশুদের বিনামূল্যে বিনোদন উপভোগ করতে দেখেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, এতোবড় একটি আন্তর্জাতিক আয়োজনে এই বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করা গর্বের বিষয়, আমি আশাকরি পলাশের এ মহতি উদ্যোগ দেখে যেন সমাজের সবাই এদের প্রতি সদয় হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *