রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র নিয়ে নাটক ‘সিক্রেট অব হিস্ট্রি’র রজতজয়ন্তী

জেলের ভেতর জাতীয় চার নেতাকে নির্মম হত্যা ও তৎপরবর্তী ক্যান্টনমেন্ট ও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র নিয়ে প্রযোজনা ‘সিক্রেট অব হিস্ট্রি’ নাটকের রজতজয়ন্তী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বুনন থিয়েটার। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যজন নাট্যকার মামুনুর রশীদ, মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্র নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য লাকী ইনাম, সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ বিশিষ্ট নাট্যকার ও নির্দেশক ও ড. ইনাম।

সিক্রেট অব হিস্ট্রি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক আনন জামান ও নির্দেশনা দিয়েছেন শুদ্ধমান চৈতন। নাটকে শুরুতেই দেখা যায়- এক মহান রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে গদী দখল করা খুনী রাষ্ট্রপতি জেলের ভেতর হত্যাকৃত চার নেতার লাশ গোরস্থানে বয়ে এনেছে রাতের আন্ধারিতে কবরে ছেঁপে দেবার জন্য। গোরস্থানের আদি ভৌতিক আবহে খুনী রাষ্ট্রপতির মুখোমুখি হয় জেলখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ড, খুনী রিসালদার ও চার নেতার ছায়া শরীর।

‘সিক্রেট অব হিস্ট্রি’ নাটকের দৃশ্য

কাহিনীর মধ্যভাগে যুক্ত হয় এক খুনী মেজর – যে অন্ধকার হলেই লাশভরা ট্রাক নিয়ে পথে নামে গোরস্থান দেখলেই ছেঁপে দেয়। সে নয়খানি ট্রাকে শতখানি দ্রোহঠাসা সেনার লাশ গোরস্থানের ছায়ায় সারি করে রেখে- রাষ্ট্রপতির সাথে যুক্ত হয়। খুনী রাষ্ট্রপতি আর মেজর এক সাথে কৌশল নির্মান করে চলে লাশ ছেঁপে দেবার জন্য- বাঁধ সাধে বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর মুর্দা ফকির। সে দীঘল সাদা আলখেল্লার প্রান্ত উড়িয়ে লাশ আগলে দাড়ায়- মুখে ঠোটে এক কথা তার- ‘এ লাশ কবরে যাবে না’। একে একে অভিনীত হয় সেনা বিদ্রোহ দমনের নামে ক্যান্টনমেন্টের হত্যাকৃত সেনাদের দীর্ঘশ্বাস ও নিগুঢ় হত্যার গোপন কথকতা।

নাটকটির অভিনয় নির্মানে নিদের্শক মুল অভিনয় মঞ্চ থেকে একটি রক্তবর্ন গালিচা দর্শক সারির মধ্যভাগ পর্যন্ত রেখে একটি কাঠগড়ার সেট স্থাপন করেছেন- যা দর্শক অভিনেতার দূরত্ব ঘুচিয়ে- দর্শক শ্রোতাকে নাট্যস্থিত বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট করতে সহায়তা করেছে।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- আনন জামান, আশরাফুল বিলাস, তুষার কান্তি দে রাজন, আবু ফাহিম, উচ্ছ্বল হাসান, আবিদ হাসান নির্ঝর, শাত-ইল রাস, হাজেরা আক্তার কেয়া, অমিত প্রিয়ভাষ, সাঁঝমান নন্দ, তুষার সমীরণ, আয়েশা আক্তার কাকন, মারিয়া বিনতে লতিফ, জিহাদুল ইসলাম, রুদ্রতুল রানার, তাবাস্সুম অধরা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও আরিফ জামান সেজান।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *