দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯( লিগ্যালভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকম) : মার্কিন যুক্তরাষ্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা দুর্নীতি নির্মূল, সন্ত্রাস দমন এবং মানব পাচার বন্ধে বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের প্রশংসা করেছে ।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশ সরকারের এই প্রশংসা করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসএইড প্রশাসক মার্ক গ্রীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যাভিড হ্যালের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠনের পর এই সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন সেক্টরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদারে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
শহীদুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারিরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হলে বাংলাদেশ খুশি হবে এবং তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেবে। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করে বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরনার্থীদের তাদের স্বদেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়া প্রত্যাশা করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে জীবন বাচাঁতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরনার্থীদেরকে আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশকে তাদের একজন অংশীদার হিসাবে বর্ণনা করে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বাংলাদেশের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এ ছাড়াও দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মুখ্য উপ-সহকারি মন্ত্রী রাষ্ট্রদূত অ্যালিস ওয়েলস, ডেমোক্রেসি ব্যুরো, অধিকার ও শ্রম দফতর প্রধান রাষ্ট্রদূত মাইকেল কোজাক, জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু এবং অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারি মন্ত্রী ক্যারোল থোমাস ও কোনেল, মানব পাচার দফতর প্রধান অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ জন কটন রিসমন্ড এবং কাউন্টারটেরোরিজম ব্যুরো ও কাউন্টারটেরোরিজম কোঅর্ডিনেটর অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ নাথান স্যালেসের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *