নারায়ণগঞ্জে স্কুল বন্ধের কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোট

নারায়ণগঞ্জের কিল্লারপুর এলাকার ৩৩ বছরের পুরোনো ‘ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুল’ বন্ধের কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বন্ধের কারণ অনুসন্ধান করে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক ও নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে স্কুলটি বন্ধ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অনতিবিলম্বে স্কুলটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী আখতার হোসাইনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এ এইচ এম রেহানুল কবীর রনি ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ ফরহাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

‘৩৩ বছরের পুরোনো স্কুল বন্ধ ঘোষণা’ শিরোনামে গত ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়।

আদালত পানি ও শিক্ষা সচিব, পাউবো মহাপরিচালক ও নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিক শ্রেণির শিশুদের জন্য ১৯৮৬ সালে পাউবো’র ড্রেজার পরিদপ্তরের নিজস্ব খরচে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্কুলটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত ড্রেজার পরিদপ্তরের নিজস্ব খরচে চলতো। ২০১৭ সালে ড্রেজার পরিদপ্তর পাউবো’র বেইস সেটআপে যুক্ত হয়। এ প্রক্রিয়ায় স্কুলটি সংযুক্ত না থাকায় গত ডিসেম্বরে ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুদ্দীন আহমদ মৌখিকভাবে বিদ্যালয়টি বন্ধের ঘোষণা দেন। ফলে এ স্কুলের প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *